মরমি সাধক এবং বাউল শিল্পী হিসেবে ইতিহাসে তিনি অমরতা পেয়েছেন প্রায় শতবর্ষ আগেই আদ্ধাতিক দর্শন চেতনার সাথে সংগীতের এক অসামান্য সংযোগ ঘটিয়ে নিজেকে পরিণত করেছেন অনন্য দৃষ্ঠান্তে । লালন শাহের পরে এ ধারায় যার নামটি সবার আগে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে তিনি জীবন বাদী
মরমি আর্দশের অপ্রতিদন্ধি প্রতিনিধি হাসন রাজা ।
হাসন রাজার বাবা মা জমিদার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে যশোহর এলাকা থেকে একসময় সুনামগঞ্জে আসেন । মাত্র ১৫ বছর বয়সে পিতার মৃত্যু হলে জমিদারি এবং সংসারের দায়িত্ব এসে পরে তার উপর । যৌবনে বেশ দাপটের সাথে জমিদারি করার সময়
তিনি ছিলেন অত্যন্ত সৌখিন ও বিলাশি হঠাৎ এর ভিতর এক আদ্ধাত্বিক স্বপ্নধর হাসন রাজার মনের দুয়ার খুলে দেয় ফলে তিনি বিলাশ প্রিয় জীবন ছেড়ে একধরনের সৌম্যভাব উদাসিনতা বৈরাগময়ি যেন হাসন রাজাকে শিল্পী হবার প্রেরণা দিতে থাকে ।
পরিণত বয়সে একসময় আল্লাহর প্র্রেমে মগ্ন হয়ে
বিষয় সম্পত্তি বিলিবণ্টন করে বাউল দরবেশ জীবন যাপন করতে অভ্যস্ত হন । প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও স্বশিক্ষিত উত্থান হয়েছিল হাসন রাজার । তার গানে প্রেম ও বৈরাগময় আদ্ধাতিক ভাবের প্রকাশ ছাড়াও ছিল অসাম্প্রদায়িক চেতনা গানের ভণিতায় নিজেকে পাগল হাসন রাজা উদাসি
দেওয়ানা ও বাউল বলে অবহিত করেছেন তিনি ।
হাসন রাজা সম্পকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক ভাষণে বলেছিলেন পূর্ববঙ্গের এক গ্রাম্য কবির গানে দর্শনের একটি বড় তত্য পাওয়া য়ায যা ব্যক্তি সরূপের সহিত সম্পদত্য সূত্রেই বিশ্ব সত্য ।
0 Comments