জীবন কেন এমন হয় এরই নাম কি জীবন ?

                    জীবন কেন এমন হয় এরই নাম কি জীবন ?


না, জীবন জীবনের মতই হয় কিন্তু কিছু কিছু সময় জীবন নষ্ট হয় আবার অনেক সুন্দরও হয় আর তা হয় আমাদের নিজের দোষেই এটির জন্য জীবন নিজে কখনো দায়ী হয় না । আমরা যখন যে ভাবে চলি ঠিক সেই রকমই ফল পাই আর দোষ দিই জীবনের । অথচ আমরা যখন কোনো ভুল কাজ করি বা করতে যাই তখন কেন এই কথা গুলো ভাবি না, ভাবি তখনই যখন এই কথা গুলো চিন্তা করে আর লাভ নেই ঠিক সেই সময় গুলোতে আমরা সেই কথা বা কাজ গুলা নিয়ে চিন্তা করি । এটির কোনোই মানে হয় না ।

কারণ ভুল করার পর হাজার চেষ্টা করলেও আর সেই ভুল সুদরানো সম্ভব নয় তবুও যেন আমরা এই কথাটি ভুলে যাই । আর তাই-তো দোষ দিই জীবনের । আমরা কেন এই কথাটি ভাবি না, যে জীবন ত নিজে চলতে পারে না, আমরা যে ভাবে চলি ঠিক জীবন সেভাবেই চলে, আমরা যদি মিষ্টি খাই তাহলে জীবন মিষ্টি খেয়ে চলতে পারে আর যদি ঝাল খাই তাহলে জীবন ও ঝাল খেয়ে চলে আবার যদি কোনো অখাদ্য কুখাদ্য খাই তাহলে জীবনও সেটিই খেয়ে চলে অর্থাৎ আমরা যদি চাই যে নিজের জীবনকে নিজের মত করে সুন্দর ভাবে গড়ে তুলতে চাই তাহলে অবশ্যই ভাল দিক নিয়ে নিজে প্রস্তুত করতে হবে তাহলেই আমাদের জীবন অনেক সুন্দর হবে ।

তবে আপনি যখন নিজেকে ভাল কাজের সাথে জড়িত করবেন তখন এমন অনেক লোক আছে  যারা আপনার কাজে বাধা হয়ে দাড়াবে তখন আপনি ভেঙ্গে পড়লে চলবে না আপনাকে হতে হবে আরও অনেক শক্ত তাদের কোনো কিছু নিয়ে মাথা ঘামানো যাবে না কারণ তাদের কোনো কথা নিয়ে যখন আপনি ভাবতে যাবেন ঠিক তখনই আপনার মন ভেঙ্গে যেতে পারে ।

আর তারা এটিই ত চায় যে আপনি তাদের কথাই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন আর নিজের পথে চলতে গিয়ে বাধা বিপত্তির শিকার হউন । এজন্যই আপনাকে অনেক ধর্য্য শিল হতে হবে তাদের কোনো কথাই আপনার কানে নেওয়া যাবে না তারা তাদের মত করে বলবে আর আপনি আপনার মত করে চলবেন ইনশাহ্-আল্লাহ আপনি একদিন সফল হবেন এতে কোনো সন্দেহ নেই  ।

আর যারা কিনা এখন আপনাকে নিয়ে উপহাস করে সেই দিনটিতে দেখবেন যে তারা আপনার দারে দাড়িয়ে আর তখন-ই আপনার মনে হবে যে আপনি আজ সফল হয়েছেন । আমি আজ যে কথা গুলো লিখতেছি সেগুলো কোনো কল্পনা জগৎতের গল্প কিংবা হিসটোরি নয় বাস্তব জীবনের সাথে ঘটে যাওয় কিছু মূহুর্তের কিছু  স্নৃতি ।

আমাদের সমাজে এমন অনেক মাথা মোটা আছে যারা কিনা নিজে কোনো ভাল কাজ করতে পারবে না আবার আপনি করতে গেলে তা করতে ও দিবে না সেখানে বাধা হয়ে দাড়াবে অর্থাৎ তারা মনে করে আমার বাপ দাদা চৌদ্দ গোষ্ঠি সহ আমি নিজেও লাঙ্গল চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতেছি কিন্তু পাশের বাড়ির অমুকের ছেলেটা আজ তথ্যপ্রযুক্তির সাথে পাল্লা দিয়ে নিজেকে তৈরী করছে যেখানে যায় সেখানেই সম্মান পায় আমার-ত গাঁ জ্বলে ।

এমন কথা চিন্তা করেই তারা আমাদের কাজে বাধা হয়ে দাড়ায় আর আমাদের পরিবারের গুরুজনদের ভুল ভাল বুঝানোর চেষ্টা করে আর যদি বুঝাতে পারে বা গুরুজনরা যদি তার কথা মাথায় নেয় তাহলেই ত যা হবার তাই হবে অর্থাৎ আমরা আর সফল হতে পারব না । তারা মনে করে লোক জন যদি মুর্খ না থাকে অন্যের উপর নির্ভর করে চলা না লাগে তাহলে-ত তারা আর সমাজে দাম পাবে না ।

তারা যখন অন্যের হক মারতে যাবে সচেতন ব্যক্তিরা তখন বাধা হয়ে দাড়াবে আর এজন্যই তারা সব সময় চেষ্টা করে থাকে যাতে পাশের বাড়ির ছেলেটা কিংবা মেয়েটা কেউ-ই যেন মাথা উঁচু করে দাড়াতে না পারে ।

তবে আমাদের সমাজের কিছু কিছু লোক আছে অন্যের তোষামুদ করা ছাড়া যেন তাদের পেটের ভাত হজমই হয় না । কেনরে ভাই এত তোষামুদ কেন? এটির জন্যই কি আপনার জন্ম হয়েছে যদি বলেন হ্যাঁ, তাহলে ঠিক আছে আর যদি বলেন না তাহলে বলব আজ থেকে এই তোষামুদ করা ছেজে দিন নিজেকে একটু পাল্টান এবং নিজেকে মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে পারেন এমন কোনো কিছু করেন । অর্থাৎ অন্যকে তেল মারা কাজটা ছেড়ে দিন যদি মানুষ হয়ে থাকেন ।কারণ অন্যকে তেল মারা এটি ভাল কোনো মানুষের কাজ নয় এটি করে থাকে যারা কুকুর ।

উন্নত্য রাষ্ট্র গুলো থেকে আমাদের দেশ পিছিয়ে থাকার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে আমরা অন্যকে জ্ঞান দিতে বেশি পচ্ছন্দ করি । নিজে করি দারোযানের কাজ কিংবা ঝাড়ু দ্বারের কাজ কিন্তু জ্ঞান দিই একজন তথ্যপ্রযুক্তির সাথে জড়িত এমন কোনো ব্যক্তিকে  আমি কোনো শ্রেণীর কোনো ব্যক্তি ছোট করে কথা গুলো বলছি না বুঝানোর জন্য শুধু শ্রেণী উল্লেখ করছি তা না হলে বুঝতে পারবেন না ।